নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অসত্য প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার অভিযোগে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার ফরাসি নাগরিক আবুল কাশেম, মজিবুর রহমান, মনজুরুল হাসান চৌধুরী এবং কয়েস দিলওয়ার হুসাইনের পক্ষে ফরাসি আইনজীবী মাদৌ কোনে ওই নোটিস পাঠান।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ‘কঠোর হস্তক্ষেপ করা’ বিশ্বের ৩৭ জন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের একটি তালিকা গত ২ জুলাই প্রকাশ করে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, যেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও দেখা যায়।
'ওল্ড টাইর্যান্টস, টু উইমেন অ্যান্ড আ ইউরোপিয়ান: আরএসএফ আনভেইলস ইটস ২০২১ এডিশন অব প্রিডেটরস অব প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক ওই নিবন্ধে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশকে নিয়ে ‘অসত্য বিবরণ’ দেয়ায় কেন আরএসএফের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, ১৫ দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে নোটিসে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্রান্সে অবস্থিত সংস্থা আরএসএফ এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশের ত্রুটিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত নানাদিক উল্লেখ করে নোটিসে বলা হয়, খোদ ফ্রান্সের আইন অনুযায়ীই এটি অপরাধ, কারণ সেদেশে ১৮৮১ সালের ২৯ জুলাই প্রণীত গণমাধ্যম স্বাধীনতা বিষয়ক আইন অনুসারে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক কোনো মন্তব্য জনসম্মুখে প্রকাশ নিষিদ্ধ।
একই আইনের ২৯ ধারায় এ ধরনের কোনো বিবরণ বিবৃতি, হাতে লেখা, ছাপা, পোস্টার-প্ল্যাকার্ড বা অন্য কোনো আকারে প্রকাশ করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে।
আরএসএফ এর নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) থেকে যে প্রতিবাদলিপি দেয়া হয়েছে, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই উকিল নোটিসে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স ওই নিবন্ধ প্রকাশ করার পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের নির্দেশে গত ৯ জুলাই তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একটি প্রতিবাদলিপি পাঠান। সেখানে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ নিয়ে ওই ‘অসত্য প্রতিবেদন’ অবলোপন করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এফএআর