নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশব্যাপী চলমান কঠোর বিধিনিষেধের শুরুর দিন থেকে প্রধান সড়কগুলোতে বেশ কড়াকড়ি থাকলে কিছুটা ঢিলেঢালা লক্ষ্য করা পাড়া মহল্লায়। এরই মধ্যে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, শ্রমজীবী মানুষের আনাগোনা বেড়েছে সড়কে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) কিছুটা উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের যাতায়াতে পুলিশের চেকপোস্ট আছে। কিন্তু পাড়া মহল্লায় মানুষের বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া আড্ডা দেওয়া থেমে নেই।
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সকাল থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার উপস্থিত চোখে পড়ার মতো। এই সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রামপুরা বিভিন্ন গলিতে সাধারণ মানুষের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা যায়।
বনশ্রী আবাসিক এলাকায় কলেজ ছাত্র ইমরানের সাথে কথা হয়। তিনি সান নিউজকে বলেন। 'বাসায় থাকতে ভালো লাগে না তাই রাস্তায় একটু হাটতে বের হয়েছি'।
বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন নিয়াজ নিপু। তিনি সান নিউজকে বলেন, 'যেভাবে রাস্তায় মানুষজনের উপস্থিতি বাড়ছে, রাস্তায় রিকশা-যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে- এটাকে কি লকডাউন বলা যায়? এরকম হলে সংক্রমণ কমবে কিভাবে?'
রাজধানীর আরেক ব্যস্ততম শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শাহবাগে দুইটি হাসপাতাল থাকায় এখানে মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিক সময়ে বেশি থাকে। কিন্তু জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবে না, এমন বিধিনিষেধ থাকলে ও এই এলাকায় জরুরি কাজ ছাড়া মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ে মতো।
বনশ্রী আর সিফাহিবাগ এলাকায় দেখা যায়, মাছ এবং সবজি বাজারে মানুষের ঝটলা। কেউ স্বাস্থ্য বিধির কোন তোয়াক্কা করে না। অনেকেই দেখা যায় তারা মাস্ক ছাড়া বাসা থেকে বের হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এইভাবে মানুষ যদি বিনা কারণে রাস্তায় বের হয় তাহলে এইবারের ডেউ মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে। আর সরকার অসহায় মানুষের খাবারের নিশ্চিত না করলে লকডাউন দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে পারবে না।
করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রামণের প্রেক্ষাপটে গত ২৩জুলাই সকাল থেকে কঠোর বিধি নিষেধ চালু করেছে সরকার। এই বিধি নিষেধকে সর্বাত্মক লকডাউন বলা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার সময় ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে।
সান নিউজ/এসএ