নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ হাজার টাকা করে ৫১ লাখ পরিবারকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত (অর্থাৎ ছয় বছর) নগদ সহায়তা দিলে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এক কোটি ৭৪ লাখে নেমে আসবে। এ হিসাবে তখন বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার নামবে ১০ শতাংশে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরদৌসি নাহারের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া যায়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অনুরোধে গত বছরের ডিসেম্বরে গবেষণা শুরু করে মে মাসে সেটি জমা দিয়েছেন তিনি। ইআরডি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারি করোনাভাইরাসের ছোঁবলে দেশে দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। এই সংকটের সময়ে গরীব মানুষকে নগদ সহায়তার কোনো বিকল্প নেই। এ অবস্থায় সরকার যদি ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৫১ লাখ ১০ হাজার পরিবারকে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা দেয়, তাহলে ছয় বছরের মধ্যে দরিদ্র্য পরিবারের সংখ্যা নেমে আসবে ৪৩ লাখ ৫০ হাজারে। আর দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা কমে ১ কোটি ৭৪ লাখ হবে। অর্থাৎ দেশে দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে ১০ শতাংশে।
ফিরদৌসি নাহার বলেন, প্রথম বছরে সাড়ে ১১ লাখ পরিবারকে মাসে ৫ হাজার করে টাকা দিতে হবে। দ্বিতীয় বছরে দিতে হবে আরও ১০ লাখ পরিবারকে। তৃতীয় বছরে যোগ হবে আরও ৮ লাখ ৯০ হাজার পরিবার। চতুর্থ বছরে বাড়বে ৭ লাখ ৮০ হাজার পরিবার। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বছরে যথাক্রমে আরও ৬ লাখ ৮০ হাজার ও ৬ লাখ পরিবারকে মাসে ৫ হাজার করে টাকা দিতে হবে।
সব মিলিয়ে ৫১ লাখ ১০ হাজার পরিবারকে এই নগদ টাকা দিয়ে সহায়তা করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অসহায় পরিবারগুলোকে ৩ মাস ৫ হাজার করে টাকা দিলে সরকারের খরচ হবে ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর ছয় মাস দিলে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর পরে অবশ্য দারিদ্র্যের হার নিয়ে আর কোনো গবেষণা তথ্য প্রকাশ করেনি বিবিএস।
সান নিউজ/এফএআর