নিজস্ব প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনের তৃতীয়দিনে রাজধানীতে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা। কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউকে রাজপথে পেলেই করছে জরিমানা। এমনই এক জরিমানার মুখে পড়েছে মোহাম্মদ মহসিন নামের এক ব্যক্তি।
তিনি চলমান বিধিনিষেধে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কাকরাইলে মামার সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। শাহবাগে র্যাবের চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদে যৌক্তিক উত্তর দিতে না পারায় এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয় তাকে।
মহসিন বলেন, অনেকদিন মামার সাথে দেখা হয় না। তাই মামার সাথে দেখা করার জন্য বের হয়েছেন এই লকডাউনে।
রোববার (২৫ জুলাই) শাহবাগে জনগণের মাঝে সচেতনতা ও বিনাকারণে বাসা থেকে যাতে বের না হয় এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৩) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
পলাশ কুমার বসু বলেন, জীবনের প্রয়োজনে সকলকে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলতেছে মানুষ যাতে বিনাকারণে বাসা থেকে বের না হয়, সে জন্য সচেতনতা করা। পাশাপাশি আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাক্স ও হ্যান্ড-স্যানিট্রাইজার বিতরণ করছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সম্মানিত নাগরিক যেভাবে অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে বাসা থেকে বের হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
আবু সুফিয়ান এক চেক নিয়ে তিনজন এক রিকশায় যাচ্ছেন ব্যাংকে। কেন এক চেক নিয়ে তিনজন এক রিকশায় যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় তাদের তিনজনকে আর্থিক দণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সন্তোষজনক কোন উওর না পেলে আমরা জরিমানার আওতায় নিয়ে আসছি।
জাহাঙ্গীর যাচ্ছিলেন ঝিগাতলা থেকে ফকিরাপুল। দোকানে চুরি হওয়ায় তারা যাচ্ছিলেন। তাদেরকে র্যাবের চেকপোস্টে জরিমানা করা হয় ৫০০ টাকা।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় সরকার ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই সময় মন্ত্রিপরিষদ থেকে বলা হয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে বাসা থেকে বের না হয়।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর