জাহিদ রাকিব: মহামারি করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত ১৪ কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন চলছে। এসময় রাজধানীর গুলশানের সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির তীব্র যানজট দেখা যায়। ব্যক্তিগত গাড়ির অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও কোনভাবে থামানো যাচ্ছে না মানুষের চলাচল।
রোববার (২৫জুলাই) রাজধানীর গুলশান, নিকেতন এলাকার সড়কগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আলাউদ্দিন নামের পথ চারির কথা হয় সান নিউজের সাথে তিনি বলেন, সরকার বলছে সবধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, 'কিন্তু আমাদের অফিস খোলা থাকায় এখন লকডাউনে হেটে যাওয়া লাগতেছে'।
বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন নিয়াজ নিপু। তিনি বলেন, 'যেভাবে রাস্তায় মানুষজনের উপস্থিতি বাড়ছে, রাস্তায় রিকশা-যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে- এটাকে কি লকডাউন বলা যায়? এরকম হলে সংক্রমণ কমবে কিভাবে?'।
গুলশান ১ চেকপোস্টে দেখা যায়, পুলিশ গাড়ি থামিয়ে গন্তব্যে যাওয়ায় সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চাইছে। প্রয়োজনে কাগজপত্রও দেখছেন। জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। পাশাপাশি যারা বিনাকারণে রাস্তায় বের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
চেকপোস্ট দায়িত্বরত গুলশান জোনের ট্রাফিক বিভাগের এডিসি জানায়। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মানাতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি যারা কারণ ছাড়া ঘর বের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ,করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রামণের প্রেক্ষাপটে গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে কঠোর বিধি নিষেধ চালু করে সরকার। এই বিধি নিষেধকে সর্বাত্মক লকডাউন বলা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার সময় ৫ই আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত।
সান নিউজ/এসএ