জাহিদ রাকিব
মুক্তিযোদ্ধা গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে জাতি একজন অসাধারণ মানুষকে হারালো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফকির আলমগীরের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফকির আলমগীর ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের সক্রীয় সৈনিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক।
হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি ছিলেন গণমানুষের শিল্পী। তার মৃত্যু জাতির জন্য বিরাট ক্ষতি।
এর আগে বৃষ্টি আর লকডাউন উপেক্ষা করে ফকির আলমগীরের নিথর দেহ বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি এসে থামে শহীদ মিনারের কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে। তারও আগে থেকেই অনেকে সেখানে উপস্থিত। কারও হাতে ফুলের তোড়া, কারও মাথায় ছাতা। শহীদ মিনারের বেদিতে ফকির আলমগীরের জন্য সব গুছিয়ে রেখেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ প্রমুখ।
ঢাবির ভিসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ফকির আলমগীর ছিলেন বাংলাদেশের এক রত্ন। জাতি আজ সেই রত্নকে হারালো। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে রাজপথের গণসংগীতসহ সব ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রসেনা। তার অবদানের কথা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
ফকির আলমগীরের স্ত্রী বলেন, ফকির আলমগীরের হাজারো গান যেনো সংরক্ষণ করা হয়। জীবদ্দশায় তার খুব আক্ষেপ ছিল, একটি রাষ্ট্রীয় পদক না পাওয়াতে। আমি প্রধামন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো, মরণোত্তর হলেও ফকির আলমগীরকে একটি রাষ্ট্রীয় পদক দিলে তার অতৃপ্ত আত্মা শান্তি পাবে।
অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী বলেন, আমরা একজন সহযোদ্ধা, বড় ভাইকে হারালাম। মহান আল্লাহ তার আত্মার চির শান্তি দিক।
এর আগে বেলা ১১টায় খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদ মাঠে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জোহরের পর খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর ফকির আলমগীরকে তালতলা কবরাস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ফকির আলমগীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সান নিউজ/এফএআর