আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আগামী রোববার ১২ই জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। মাঝে ৪দিন বিরতি দিয়ে ১৭ই জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১৯শে জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমায় যোগ দিতে দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা। মুসল্লিদের এ ঢল আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। প্রথম পর্বে তিনদিনে ইজতেমার শীর্ষ মুরব্বিরা ঈমান ও আমলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। তাবলীগ জামাতের অন্যতম বৃহত্তম এই সম্মিলনের নিরাপত্তা ও মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পক্ষ থেকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বি ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউদ্দিন জানান, ময়দানকে মোট ৯২টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এবার দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৮৭টি খিত্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচটি খিত্তা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। কোনো জেলার মুসল্লি বেশি হলে অথবা মাদরাসা ছাত্রদের ওই খিত্তাগুলোতে দেয়া হবে। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে দেশের মুসল্লিদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে নিবাস তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগের খিত্তাগুলোর সঙ্গে এবার অতিরিক্তি ১৪টি খিত্তা বারানো হয়েছে।