নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। তবে কারাগারের বন্দিদের জন্য এদিনটা একটু ভিন্ন। এমন খুশির দিনেও যেহেতু তাদের স্বজনদের ছেড়ে থাকতে হয়। তাই প্রতি বছরই দুই ঈদে কারাবন্দিদের আনন্দ দিতে নানা আয়োজন করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার।
ঈদের দিন বন্দিদের যেন মন খারাপ না থাকে এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন না করতে পারার দুঃখ ভুলে থাকতে পারে, সেজন্য প্রতিবারই কারা কর্তৃপক্ষ এই আয়োজন করে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
কারা সূত্র জানায়, ঈদের দিন বন্দিদের ঘরোয়া পরিবেশের আমেজ দেয়ার জন্য সকাল ৭টায় তাদের নিজ নিজ সেলে মুড়ি ও পায়েস পাঠানো হয়েছে। মুড়ি ও পায়েস খাওয়ার পর বন্দিরা ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে বন্দিরা কারা মসজিদের বিকল্প হিসেবে নিজ নিজ ওয়ার্ডে নামাজ পড়েছেন গতবারের মতো।
ঈদের জামাত শেষে কারাগারে শুরু হয় কোরবানির প্রস্তুতি। কারাবন্দিদের জন্য আগে থেকে আনা ১৭টি গরু একে একে কোরবানি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বন্দিরাও অংশগ্রহণ করন। কোরবানির গরু প্রক্রিয়াজাতের কাজ চলে দুপুর পর্যন্ত।
ঈদের দিন দুপুরে ও রাতে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করে কারা কর্তৃপক্ষ। দুপুরে বন্দিদের জন্য কয়েক পদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তারা দুপুরে ভাত, গরু/খাসির মাংস, রুই মাছ ও আলুর দম খাবে। আর রাতে খাবেন পোলাও, গরুর/খাসির মাংস, রোস্ট, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস ও পান-সুপারি।
বন্দিদের ঈদ আনন্দের বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা মহামারি চলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছেন বন্দিরা। আজ বন্দিদের জন্য ১৭টি গরু কোরবানি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদের দিন সকালটা বন্দিরা পায়েস ও মুড়ি দিয়ে শুরু করেছেন। দুপুরে ও রাতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে বন্দিদের জন্য।’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বন্দিরা ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন বলেও তিনি জানান।
সাননিউজ/এমএইচ