নিজস্ব প্রতিবেদক : এই ঈদের দিনেও প্রিয়জনের উদ্দেশে অনেকেই গ্রামের বাড়ি ছুটছেন। গ্রামে না ফিরলে যেন ঈদের সব আনন্দই মাটি। তাই তো ঝামেলা এবং কাজ এক পাশে সরিয়ে রেখে কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
অনেকে ছুটি না পেয়ে বাড়ি ফিরতে পারেননি, কেউ আবার যানবাহনের কারণে, আর অনেকে ভোগান্তি এড়াতে বাড়ি ফিরছেন ঈদের দিন। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতেই তারা ছুটে যাচ্ছেন নাড়ির টানে।
বুধবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের বাড়ি যেতে বাসস্ট্যান্ডে আসছেন অনেক যাত্রী। তবে গত কয়েকদিনের ন্যায় তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।
যাত্রীরা জানান, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারেননি। তাই পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের এক নজর দেখতে ঈদের দিনে বাসে উঠার চেষ্টা করছেন তারা।
পরিবার নিয়ে বাড়ি রংপুর ফিরছেন সালাম নামে এক চাকরিজীবী। তিনি বলেন, চাকরির কারণে এবং টিকিট না পাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারেননি তারা। তাই ঈদের দিন বাড়ি ফিরছেন তারা। লকডাউনের জন্য একটি লম্বা ছুটি পেয়েছেন তিনি। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি।
সালামের মতো আরও অনেকে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের কথা মাথায় রেখে বাড়ি ফিরছেন।
শহিদুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, পরশু থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। হাতে টাকাপয়সা কম। তাই বাড়ি ফিরছেন তিনি।
তবে ভাড়া বেশি নিলেও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি খুব কম মানছেন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ বাসেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।
বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দুই সিটেই যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ পরিবহন। ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণ।
এ বিষয়ে বাসের হেলপার রবিন বলেন, আমরা মালিকের গাড়ি চালাই। আমাদের যেভাবে নিতে বলছে, সেভাবেই নিচ্ছি। যা পাই সেটা মালিকের পকেটেই যায়।
সান নিউজ/এসএ