নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির ঈদের দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জমজমাট মাংসের ভ্রাম্যমাণ বাজার বসেছে। ছিন্নমূল ও দরিদ্র লোকজন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করে তা ওইসব বাজারে বিক্রি করে দেয়। যারা কোরবানি দিতে পারেনি তারা ও হোটেল ব্যবসায়ীরা এই মাংস কিনছেন। মানবেধে ৩০০-৫০০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব মাংস।
বুধবার (২১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মগবাজার এলাকার রেললাইনের ওপর,বাংলামোটর মোড়, মতিঝিল গোলচত্বর ও অন্যান্য এলাকায় মাংসের ছোট ছোট হাট বসেছে। সংগ্রহ করা কোরবানির মাংস দরিদ্র লোকজন এখানে বিক্রি করছেন।
মগবাজার মাংসের বাজারের রবিউল বলেন, ঈদে বিভিন্ন বাসা থেকে প্রায় ছয় কেজি মাংস পেয়েছি। এর সবটুকুই একজন হোটেল ব্যবসায়ী কিনে নিয়েছেন। দাম ৩০০ টাকা করে।
কোরবানি শেষে বিকেলের দিকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে চোখে পড়ে মাংসের হাট। শহরের অলিতে-গলিতে অস্থায়ী এসব বাজারে খুব কম দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে। মূলত সকাল থেকে ভিক্ষুক এবং গরিব-অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে যে মাংস সংগ্রহ করেছেন সেটাই তারা এসব স্থানে বিক্রি করছেন। করোনার কারণে গত বছরগুলোর তুলনায় এবার মাংস কম পেয়েছেন তারা। সেটিই অস্থায়ী বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব বাজার থেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষদের এ মাংস কিনতে দেখা গেছে।
হাড়ের পরিমাণের ওপর নির্ভর করছে এসব মাংসের মূল্য। তাই কোথাও ২৭৫ টাকা আবার কোথাও ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এসব মাংস। শিশুদেরও কোরবানির মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে, এসব মাংস মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যাওয়ায় মাংসের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে বিভিন্ন রকমের মাংস একত্রিত করে বিক্রি করা হচ্ছে কেজি দরে। অথচ ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি এসব মাংস। খুব সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে এসব মাংস বিভিন্ন বাসা থেকে সংগ্রহ করে একত্র করেন তারা। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এগুলো সংরক্ষণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই এসব মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর