নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বছরজুড়ে যে পরিমাণ চামড়া পাওয়া যায় তার অর্ধেকের বেশি আসে কুরবানির পশু থেকে। এই সময়ের অপেক্ষায় থাকেন ট্যানারি মালিকরা। আর গত দু’বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ।
তিনি বলেন, কুরবানির ঈদে চামড়া সংগ্রহে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, লবণ মজুদ ও কর্মী-শ্রমিক প্রস্তুত রয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে ট্যানারিগুলো মূলত ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ করবে। এ জন্য এসব এলাকার মাদরাসাভিত্তিক যেসব উদ্যোক্তা চামড়া সংগ্রহ করবেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আর্থিক যোগান দেওয়া হয়েছে।
এবার সবমিলিয়ে প্রায় ৯০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করার চেষ্টা থাকবে। ইতোমধ্যে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসা চামড়া প্রক্রিয়াকরণে প্রয়োজনীয় লবণ এবং কর্মী-শ্রমিকদের প্রস্তুত করা হয়েছে।
চামড়া শিল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত পুরান ঢাকার নবাবপুরের বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন বলেন, আমরা প্রস্তুতি মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই শেষ করেছি। বুধবার আগে ট্যানারিতে যাব। এরপর ট্রাকে করে পুরান ঢাকার দুইটা মোবাইল সেন্টার থেকে আমরা চামড়া সংগ্রহ করব।
এবার আড়ত ও ট্যানারিগুলোর জন্য ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছর এই দর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দাম হবে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকা, গতবছর যা ২৮ থেকে ৩২ টাকা ছিল।
এছাড়া দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবছর খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকায় বেঁধে দিয়েছিল সরকার।
সান নিউজ/এমএম