নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন সামর্থবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পশুর রক্ত, মাংস কোন কিছুই মহান আল্লাহর তা’য়ালার কাছে পৌঁছায় না শুধুমাত্র কোরবানিদাতার নিয়ত (মনোভাসনা) ছাড়া। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা আলাদা মোনাজাত (দোয়া) শিক্ষা দিয়েছেন। এই দোয়া পড়ে কোরবানির পশুর জবেহ করতে হয়।
তা ছাড়া পশু জবেহ করার সময় অস্ত্রও রাখতে হয় ধালালো।
উচ্চারণ : ‘ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাযি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা...বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।’
অর্থ : ‘নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ—সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন। হে আল্লাহ! তোমার পক্ষ থেকে, তোমার জন্য। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’
সুত্র : আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৯৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২১
উল্লেখ্য, শুধু ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার’ পড়ে পশু জবাই করলেও কোরবানি সহিহ হয়ে যায়। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৮১০)
সান নিউজ/এফএআর