নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণের উচ্চ মাত্রার মধ্যে সারাদেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা। এই ঈদকে সামনে রেখে এবার সব গণপরিবহন খুলে দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে নগরীর সিংহভাগ কর্মজীবী মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। তবে নগরীর টার্মিনালগুলোতে এখনও ঘরমুখো মানুষের যথেষ্ট চাপ দেখা গেছে। সকাল থেকে নগরীর টার্মিনাল ও প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে বহস্পতিবার (২০জুলাই) রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় লেগেই আছে।
পরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দিনে চার শতাধিক বাস বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, বৃহত্তর ময়মনসিংহ তথা নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল জেলায় চলাচল করে। এছাড়া ওই টার্মিনাল থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ সিলেটে আরও দেড় শতাধিক এনা পরিবহনের বাস যাত্রী পরিবহন করে।
টার্মিনাল এলাকায় দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রী পরিবহনে শতাধিক দূরপাল্লার বাস সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি দিয়ে টিকিট কাটছেন যাত্রীরা। প্রতিটি বাসে এক আসন ফাঁকা রেখেই যাত্রীরা বসছেন। এক-দুই মিনিট পরপর টার্মিনাল থেকে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও আসনে বসে অনেকেই তা খুলে ফেলছেন। চালক এবং তার সহকারির বেলায়ও একই চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুরের বাসিন্দা নাজমুল হাসান। চার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সকাল নয়টায় মহাখালী বাস টার্মিনালে আসেন। ময়মনসিংহ জেলাগামী এনা পরিবহনের টিকিট কেটে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর তিনি গাড়ি পান।
বাস টার্মিনালে অপেক্ষমান আরেক যাত্রী নাজমুল হাসান জানান, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ঢাকার বাসায় ঘরবন্দি রয়েছেন। ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজও বন্ধ। এখন লকডাউন শিথিল করায় গ্রামে ঈদ করতে যাচ্ছেন।
এনা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে তাদের পরিবহনের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল নয়টা পর্যন্ত তাদের ২৫টি বাস যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর