জাহিদ রাকিব
পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ছাড়ছেন ঘুরমুখি মানুষ। এ নিয়ে বাস ও নদীপথে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে সেই চিরচেনা কোলাহল নেই রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি করায় কাউন্টারগুলোতে নেই টিকিট প্রত্যাশীদের কোনো লাইন। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে ট্রেনগুলোর আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট ইস্যু করায় স্টেশনে যাত্রীদের কিছুটা চাপ কমেছে।
লকডাউন শিথিল হওয়া পর গত বুধবার সকাল থেকে শুধু অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। ফলে যাত্রীদের কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। সোমবার (১৯ জুলাই) স্টেশনে ঘুরে দেখা যায় কাউন্টারগুলো ফাঁকা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের যাত্রী আবু সালেহ বলেন, টিকিট পাওয়াটাই কঠিন। এছাড়া সব কিছুই ঠিকভাবে চলছে। ট্রেনও সঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। আর স্বাস্থ্যবিধি মানাতে একদমই কঠোর অবস্থানে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মাস্ক ছাড়া কাউকে এখানে আসতেই দিচ্ছে না।
রাজশাহী কমিউটার ট্রেনের যাত্রী আহসান হাবিব জানান, তারা দুইটা টিকিট কেটেছেন। স্ত্রী ও ছোট বাচ্চা নিয়ে বসতে পেরেছেন। হাবিবের আশেপাশে আসন ফাঁকা। মোটামুটি এবারের ঈদযাত্রা ভিড় নেই।
স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হওয়া মানুষের ভিড় কমেছে। শুরুতে দুই দিন টিকিটের জন্য কেউ কেউ আসলেও এখন আর সেই ভিড় নেই।
রেলওয়ে জানিয়েছে, লকডাউন শিথিল হওয়ায় ৩৮টি আন্তঃনগর এবং ১৯টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। যদিও স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।
রেল স্টেশনে দেখা গেছে, মানুষজনের ভিড় এড়াতে মাইকিং করছে রেলকর্মীরা। মাস্ক ছাড়া কাউকেই স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মানুষজনের জটলা হলেই সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সান নিউজ/এফএআর