সাননিউজ ডেস্ক: ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেয়ে শারমীন আক্তারের লাশ এসেছে। খবর পেয়ে বাবা শামসুল ইসলাম রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে রওনা হন দিনাজপুর থেকে। বিকেলে মুঠোফোনে তিনি বললেন, গত ঈদে মেয়ের (লাশ) দেশে আসার কথা থাকলেও আসছে এখন। আগে মেয়ের কাছে যাই, তারপর কথা বলব।
শারমীন আক্তার গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সৌদি থেকে পাঠানো মৃত্যুসনদ অনুযায়ী, শারমীনের মৃত্যুর কারণের ঘরে ‘আত্মহত্যা’ লেখা আছে। তিনি গত বছরের এপ্রিলে মারা গেছেন। ১৪ মাস পর শনিবার রাতে লাশ দেশে এসেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে শারমীনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার মৃত্যুসনদে দেশের যে মুঠোফোন নম্বরটি দেওয়া ছিল, সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিমান কর্তৃপক্ষ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিমানবন্দরে স্থাপিত প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে এ ডেস্কের পক্ষ থেকে নানা মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত লাশ পৌঁছানোর খবর শারমীনের পরিবারকে জানানো সম্ভব হয়।
শারমীনের খালাতো ভাই মিলন হাসান জানান, এর আগেও একবার শারমীনের লাশ দেশে আসবে বলে তাদের জানানো হয়েছিল। সে সময় লাশ আসেনি। লাশ দেশে পৌঁছে গেছে, সেটি জানতে পারেন রোববার দুপুর ১২টার দিকে। খবর পাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে শারমীনের বাবা, তিনিসহ মোট পাঁচজন লাশ নিতে রওনা হন।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে মিলন হাসান জানান, রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। অ্যাম্বুলেন্স পেতেও সময় লাগছে অনেক। ঢাকায় আসার পরও নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবার কখন বাড়ির পথে রওনা দিতে পারবেন, তা–ও বুঝতে পারছেন না।
বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফখরুল আলম সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বলেন, শারমীনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সমস্যায় লাশটি এখনো বিমানবন্দরের ফ্রিজারেই আছে। শারমীনের পরিবারের সদস্যরা পৌঁছানোর পর লাশ পরিবারের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করবে বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে কল্যাণ ডেস্ক বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করে শারমীনের পরিবারকে লাশ দাফন ও পরিবহন ব্যয় হিসেবে ৩৫ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেবে। এরপর শারমীনের সব তথ্য চলে যাবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কাছে। সেখান থেকে যাচাই–বাছাই শেষে শারমীনের পরিবার পাবে তিন লাখ টাকার চেক। কর্মী বিদেশে আত্মহত্যা বা হত্যার শিকার হলে দূতাবাসের মাধ্যমেই ক্ষতিপূরণ বা আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সূত্র: প্রথম আলো
সাননিউজ/এমআর