নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যবসায়ী নেতাসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
রোববার (১৮ জুলাই) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কর্তৃক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিকট স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিত্তবানদের প্রতি ত্যাগ ও কোরবানির এই পবিত্র জিলহজ্জ্ব মাসেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের জীবন রক্ষায় হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন কিংবা প্রয়োজনীয় অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী প্রদানের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুতকৃত দেশের সর্ববৃহৎ এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট "ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল" এ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে দোকান বরাদ্দ থেকেই বছরে প্রায় একশ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও নগরবাসীকে স্বাস্থ্য সেবা দিতেই এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য তাঁর পক্ষ থেকে হাসপাতালটিতে অত্যাধুনিক দুইটি এ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়িও দেয়া হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, মহামারী চলাকালীন এটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবে। মহামারী শেষ হলে এটি সিটি কর্পোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ৯টি পশুর হাটে ক্রেতা, বিক্রেতাসহ সর্ব সাধারণকে মাস্ক পরিধানে উদ্বুদ্ধ করতে “মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার”ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জনকল্যাণমূলক সর্বাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের বক্তৃতা শেষে মোঃ আতিকুল ইসলাম এফবিসিসিআই এর নিকট তাঁর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মাস্ক প্রদানের ঘোষণা দেন এবং এফবিসিসিআই এর কাছ থেকে ২০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন গ্রহণ করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় বর্জ্য অপসারণে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নগরীকে বর্জ্য মুক্ত করার জন্য ১১ হাজার কর্মী মাঠে থাকবে ।
সাননিউজ/ জেআই