নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির আওতাভুক্ত কোরবানির পশুর হাটগুলোর কোথাও কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে ভাটারা (সাইদ নগর) এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাব নগর) ব্লক-ই, সেকশন-৩ এর ফাঁকা জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী পশুর হাট সরেজমিনে পরিদর্শন কালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
পরিদর্শন কালে মেয়র বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় স্থাপিত ১টি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী মোট ৯টি পশুর হাট সার্বিক তত্বাবধানের জন্য ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং টীম কাজ করছে, এই কমিটিতে ১৩ জন কাউন্সিলর এবং ২ জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত প্রত্যেকটি পশুর হাটেই সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২ শত প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২ শত গেঞ্জী এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক দেয়া হয়েছে। ইজারাদারদের পক্ষ থেকেও সকল হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে “মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার” ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সংখ্যক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাসহ প্রায় ৮ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, হাটের পশুগুলো অনলাইনেও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেউ হাটে না ঢুকেও অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারবেন। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সশরীরে কোরবানির পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যেই “ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১" এর আয়োজন করা হয়েছে। নিজের পরিবারসহ শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে আমাদের সকলকেই সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। জীবনের প্রয়োজনেই পশুর হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
সাননিউজ/ জেআই