কূটনৈতিক প্রতিবেদক: নোয়াখালীর ভাসানচরে ২৮০০ রোহিঙ্গাকে ঈদ উপহার হিসেবে ১৩ ধরনের জীবিকার সামগ্রী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জীবিকার পথ সুগম করতেই এ উপহার পাঠান তিনি।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের ওপর চাপ কমাতে সাত মাস আগে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটিকে নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে আট ধাপে যাওয়া ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাস করছে নোয়াখালীর ওই দ্বীপে।
প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়ে আজ শুক্রবার সকালে ভাসানচরের ওয়্যারহাউসের সামনে জড়ো হন রোহিঙ্গারা। ঘণ্টা দুয়েক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে উপহারসামগ্রীগুলো তুলে দেওয়া হয়।
উপহারসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মাছ ধরার ৮০০ জাল, ১০০টি সেলাই মেশিন, ৫০টি রিকশা ভ্যান, দেশি পাঁচ হাজার হাঁস, দেশি পাঁচ হাজার মুরগি, চুল কাটার ৪৫ সেট সরঞ্জাম, জুতা সেলাইয়ের ২৮ সেট সরঞ্জাম, রিকশা ভ্যান মেরামতের ২৫ সেট সরঞ্জাম, ইলেকট্রিশিয়ানের মেশিনপত্র ৭ সেট, কাঠমিস্ত্রির যন্ত্রপাতি ৫০ সেট, মুদিদোকানের জিনিসপত্র দেওয়া হয় ১০০ জনকে, দেশি ছাগল ১০০টি ও ২০০ জনকে দেওয়া হয় মাছের পোনাও।
জীবিকার নানা সামগ্রী পেয়ে এসব রোহিঙ্গা আপাতত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে আসা এসব মানুষ বলছেন, রাখাইনের আদিনিবাসে ফিরে যাওয়াটাই তাঁদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। যদিও মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান তাঁদের যাওয়াটা আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। নিজেদের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটিতে ফিরতে ভাসানচরের রোহিঙ্গারা সহায়তা চান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।
আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের পরিচালক কমোডর এম রাশেদ সাত্তার বলেন, গত ডিসেম্বরে ভাসানচরে নিয়ে আসা প্রায় ১৯ হাজার রোহিঙ্গার খাবারসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অস্বীকার করার উপায় নেই। এটি বিবেচনায় নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁদের মধ্যে নানা ধরনের সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এফএআর