নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে যানবাহন ও ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে অতিরিক্ত চাপ অব্যাহত আছে। ঘাটে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। যানবাহন ও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে।
সকাল ১০টার দিকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে মানুষের চাপ বাড়ছে। আজ তার মাত্রা আরও বেড়েছে। ছোট গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী যানবাহনসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায়।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ঘাটে ছোট-বড় ১৩টি ফেরি চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ ঘাটের চেয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি সংখ্যা বেশি।
আজ সকালে দেখা যায়, শিমুলিয়া-ভাঙ্গা মোড় দিয়ে যাত্রী ও পরিবহনগুলো ঘাটের দিকে ছুটছে। এ মোড়ে পুলিশ অতিরিক্ত যাত্রীবাহী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে। অনেক যাত্রী হেঁটেই ঘাটের দিকে যাচ্ছেন। ঘাটে প্রবেশ করতেই দেখা গেল, ফেরিঘাটের প্রতিটি সংযোগ সড়কেই যানবাহনের সারি। পার্কিং ইয়ার্ড ও নৌ পুলিশ মাঠ গাড়িতে পরিপূর্ণ। ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি, পরিবহন ও মালবাহী ট্রাক।
এদিকে সাধারণ যাত্রীদের গাড়ি আটকে রেখে ভিআইপি গাড়ি পারাপার করার প্রতিবাদে ঘাটের সড়ক অবরোধ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সকাল নয়টার দিকে স্বর্ণা বেগম নামের প্রাইভেট কারের এক যাত্রী বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। সামনে ঈদ। সবাই বাড়িতে ফিরবে। তখন ভিড় আরও বাড়বে। তাই আগেভাগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তাঁরা।
ফারুক হোসেন নামের এক ট্রাকচালক বলেন, গতকাল তিনি ঘাটে এসেছেন। এরপর থেকে তাঁকে পার্কিং ইয়ার্ডে থাকতে হচ্ছে। তবে অন্য ভিআইপি গাড়িগুলো ঘাটে আসছে এবং সঙ্গে সঙ্গেই নদী পার হতে পারছে। পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে। অতিরিক্ত টাকাপয়সা না দেওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখা হচ্ছে।
সান নিউজ/এফএআর