নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারির কারণে এবারও কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাত হবে না। করোনার কারণে শোলাকিয়ার ১৯৪তম এ জামাত বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া জেলার কোথাও খালি মাঠে বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত না করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ কমিটি অনলাইনে মিটিং করে। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্ব করেন। ওই সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় শোলাকিয়া কমিটির কার্যকরী কমিটি ও সাধারণ পরিষদের সদস্যরাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, মাঠ কমিটির সম্পাদক ও সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুর কাদির মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কমিটির সদস্য মো. আযহার আলী প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনার ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। প্রতিদিন শতাধিক আক্রান্ত হচ্ছেন, গড়ে পাঁচজন করে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে লোকজন আসছে। তাদের কেউ কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এ অবস্থায় সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানসহ জেলার সব ময়দান ও খালি জায়গায় জামাত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার মসজিদগুলোতে ঈদ জামাত আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়।
সভায় সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত করা হবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সরকার ইসলামি ফাউন্ডেশনকে ঈদ জামাতের বিষয়ে যে ১৮টি শর্ত দিয়েছেন,তা মেনে প্রতিটি মসজিদে একাধিক ঈদ জামাত করতে বলা হয়েছে।
সান নিউজ/এফএআর