নিজস্ব প্রতিবেদক: লোকাল ট্রেন প্রতিটা স্টেশনে থামে। সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ওঠে। এটা বন্ধ করা গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে। কেননা আন্তঃনগর ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা সম্ভব হলেও লোকাল ট্রেনে মানানো কঠিন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
লকডাউন শিথিলের পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন।
লোকাল ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে নিশ্চিত করা হবে এমন প্রশ্নে রেলমন্ত্রী বলেন, লোকাল ট্রেন প্রতিটা স্টেশনে থামে। সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ওঠে। এটা বন্ধ করা গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানানো একটু কঠিন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর সাথে সাথে হুড়োহুড়ি করে মানুষ উঠে যায়। এটা বন্ধ করার মেকানিজম আমাদের নেই। স্টেশনে প্রবেশে যদি যাত্রীদের কন্ট্রোল করা যায় তাহলে অভিযোগগুলো আসছে সেগুলো আর থাকবে না।
ঈদের আগে লকডাউন শিথিল হওয়ায় ৩৮টি আন্তঃনগর এবং ১৯টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় ট্রেন যাত্রা।
আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত (২১ জুলাই, ঈদের দিন ছাড়া) যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর বিদ্যমান আসন সংখ্যার অর্ধেক (৫০ শতাংশ) টিকিট অনলাইনে ইস্যু করা হয় বুধবার থেকে। অনলাইনে টিকিট কেনায় ভোগান্তির অভিযোগ উঠে বুধবার সকাল থেকেই।
এবিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, এটি অস্বাভাবিক কিছু না ৪০ থেকে ৫০ লাখ লোক যদি টিকিট কাটার চেষ্টা করে, ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি থাকে ৭০০ সেখানে টিকিট বিক্রি হয় ৩৫০টা। টিকেট প্রত্যাশীদের যে চাপ সেটাতো সামাল দেওয়া যাবে না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২২ জুন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ১ জুলাই শুরু হয়েছিল সর্বাত্মক লকডাউন, যার মেয়াদ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলে।
ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের বিধিনিষেধগুলো আবারও কার্যকর হবে বলে সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।
সান নিউজ/এফএআর