নিজস্ব প্রতিবেদক: কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। শেষ হবে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোরে। এসময় রাজধানীতে কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুই দফায় টানা ১৪ দিনের লকডাউনে গ্রেপ্তার হন ৯ হাজার ২০০ জন। বাইরে বের হওয়ার জরুরি কারণ দেখাতে না পারায় এরা গ্রেপ্তার হন।
এই কঠোর লকডাউন শেষ হচ্ছে বধুবার মধ্যরাতে। এরপর লকডাউন শিথিল। ১৪তম দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আট বিভাগে বিভিন্ন থানা পুলিশ একযোগে বিধিনিষেধ মানাতে অভিযান অব্যাহত রাখে। এদিন ৪৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০৫ জনকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন। ট্রাফিক বিভাগ ৭৪৪টি গাড়িকে ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই ১৪ দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৯৯ জনকে জরিমানা করা হয় ৩৯ লাখ ১২ হাজার ৩৩০ টাকা। আর বিধিনিষেধ অমান্য করায় ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে মোট ৮ হাজার ১৩৯টি মামলা করে। ট্রাফিক বিভাগের মামলায় জরিমানার পরিমাণ ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭০ টাকা।
ডিএমপি সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর বিধি-নিষেধ ঘোষণা দেয় সরকার। আরেক দফা সময় বাড়ানোর পর এ কঠোর বিধিনিষেধের শেষদিন ১৪ জুলাই। এ সময়ে ডিএমপির সব থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ একযোগে এ অভিযান অব্যাহত রাখে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, এ সময় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করে বিভিন্ন অযুহাতে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে মোট ৯ হাজার ২ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৯৯ জনকে ৩৯ লাখ ১২ হাজার ৩৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর