নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ১ জুলাই থেকে বন্ধ থাকা সব আদালত আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভার্চুয়ালি খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বুধবার (১৪ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৫ জুলাই হতে ২২ জুলাই পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসহ সব দেওয়ানী ও ফৌজদারী নরখাস্ত/আপিল/রিভিশন/বিবিধ মামলার শুনানি গ্রহণ, (সাক্ষ্য গ্রহণবাতীত) ও নিষ্পত্তি করবে।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে মামলা করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণ বিষয়ক মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে বলেও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
একই সঙ্গে ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা অধস্তন ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে কোনরূপ জনসমাগম না ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ছাড়া অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না। একটি আত্মসমর্পণের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট পরের আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।
অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানির সময় এবং মামলার অন্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাজতি-আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন।
এর আগে গত ৩০ জুন সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেশের সব আদালত বন্ধ ঘোষণা করে।
তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলা, মহানগরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এ কারণে গত ১২ এপ্রিল থেকে ভার্চুয়ালি সপ্তাহে তিন দিন আপিল বিভাগ আর দুই দিন চেম্বার আদালতের বিচার কাজ পরিচালনা করে আসছিল।
সান নিউজ/এফএআর