নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের জন্য আরো ৯ হাজার ৪৭৪ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের জন্য এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে উপকূলীয় ১৪টি জেলার ৬৭টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর মাছ ধরা থেকে বিরত ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবারের জন্য ৮ হাজার ৯৭৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে পরিবার প্রতি মাসিক ৪০ কেজি হারে ২৩ দিনের (১-২৩ জুলাই ২০২১) জন্য ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে গত মে মাসে পরিবার প্রতি মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪২ দিনের (২০ মে-৩০ জুন ২০২১) জন্য মোট ৫৬ কেজি চালে এ খাতে বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালে হ্রদ তীরবর্তী রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা ২৫ হাজার ৩১টি জেলে পরিবারের জন্য ৫০০ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে পরিবার প্রতি মাসিক ২০ কেজি হারে ১ মাসের (জুলাই ২০২১) জন্য ২০ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে প্রথম ধাপে পরিবার প্রতি মাসিক ২০ কেজি হারে ২ মাসের (মে-জুন ২০২১) জন্য ৪০ কেজি চাল এ খাতে বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
একটি মঞ্জুরী আদেশ অনুযায়ী সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে ২য় ধাপে ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো-খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলীয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দীপ, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম মহানগরী ও সীতাকুন্ড, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনীর জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।
অপর মঞ্জুরী আদেশ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালে ২য় ধাপে ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দীঘিনালা। প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।
সান নিউজ/এফএআর