নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটিতে (১৬ মে পর্যন্ত) বন্ধ থাকবে আদালত।
মঙ্গলবার (৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো.আলী আকবর।
এদিকে সুপ্রিমকের্টের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৭ মে থেকে ৩০ মে শনিবার পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি নির্ধারিত রয়েছে। ফলে ৩১ মে’র আগে সুপ্রিমকোর্ট আর খুলছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগ ও সব অধস্তন আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ৬ মে বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি, ৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও এই ছুটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ছুটির সময়ে সব কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা। এ অবস্থায় সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন।
এর মধ্যে আবার সুপ্রিমকোর্টের ১৪ জন আইনজীবী সীমিত পরিসরে এক/দু’টি বেঞ্চ কিংবা অনলাইনে কোর্ট খোলার জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে একটি বেঞ্চ গঠনে অপর দুই আইনজীবীও চিঠি দিয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও প্রধান বিচারপতি বরাবরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিক জজকোর্ট খোলার আবেদন করেন।
এরপর গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য ছুটিকালীন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন।
তাছাড়া ছুটিকালীন হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
অপর বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তাহে দু’দিন জজকোর্টও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এ দুই বিজ্ঞপ্তি জারির পর আইনজীবীরা কোর্ট চালু না করতে আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত করা হয়।
পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন জজকোর্ট খোলার বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতাও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
সান নিউজ/আরএইচ