নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার কারণে এবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রতিবছর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হতো। কিন্তু এবার এ অধিবেশন এক সপ্তাহ পেছাবে।
প্রতিবছর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে অধিবেশন এক সপ্তাহ পেছাবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে আগামী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন ১১ জুন। এর একদিন আগে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। আর সংসদে বাজেট আলোচনাও সংক্ষিপ্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের দিন চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের আগে ওইদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবছর খসড়া বাজেট অনুমোদনের জন্য সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের দিনে সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণের সুবিধার্থে সংসদ ভবনে ওই বৈঠক ডাকা হয়। কারণ বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতির রেওয়াজ রয়েছে।
এবারো অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খসড়া বাজেট অনুমোদন করার পর তা সংসদে পেশ করা হবে। রাষ্ট্রপতি আগামী সপ্তাহে অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন। জুনের ৯ বা ১০ তারিখ অধিবেশন শুরু হবে।
জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যে বাজেট অধিবেশনের প্রস্তুতি শুরু করেছে সংসদ সচিবালয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার অধিবেশনের মেয়াদ ছোট হবে। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাও অতীতের থেকে কম হবে। তবে বিগত দিনের মতো একই প্রক্রিয়ায় বাজেট উত্থাপন ও পাস হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে প্রায় সবকিছু স্থবির থাকলেও আগামী অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের কাজ পুরোদমে চলছে। ইতিমধ্যে খসড়া প্রস্তাব তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এরই মধ্যে তা সংশোধন করে ২০ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। তবে নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে। সেক্ষেত্রে আগামী বাজেট পাঁচ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
সূত্র আরো জানায়, আগামী বাজেটের সবকিছুর সঙ্গেই করোনার প্রভাবকে বিবেচনায় রাখা হবে। অতি জরুরি খাত ছাড়া অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না। আগামী বাজেটেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)'র আকার ধরা হচ্ছে দুই লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো। চলতি অর্থবছরের এডিপির তুলনায় তা মাত্র এক হাজার কোটি টাকা বেশি।
সান নিউজ/আরএইচ