জাহিদ রাকিব: বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবিলায় সরকার রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ সময় সরকার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। লকডাউনের ১২তম দিনে রাজধানীর চিত্রছিলো পুরো আলাদা। বেশীরভাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকানপাট ছিলো হাফ শার্টার খোলা। রাস্তাঘাটে ছিলো সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল। আর বিধিনিষেধ মানাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট ছিলো ঢিলেঢালা।
সোমবার (১২ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁও, রাজারবাগ, পল্টন, শাহবাগ, মগবাজার, সাতরাস্তা মোড় ও বায়তুল মোকাররম এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকায় বাজার ও সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল লক্ষ্য করা যায়। লকডাউন চলছে এটি যেন তাদের মনেই নেই। ছবি খিলগাঁও এলাকা
লকডাউনে দোকান পাট বন্ধ থাকার কথা থাকলে হাফ সার্টার খোলা রেখে চলছে বেচা-কেনা। তবে কখন পুলিশ চলে আসে এই ভেবে দোকানীর সতর্ক দৃষ্টি। ছবি: সিপাহীবাগ
বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়। এতে অফিসগামী মানুষগুলো পড়ে চরম বিপাকে। যানবাহন না পাওয়ায় মানুষ যাচ্ছে ভ্যানে করে। ছবি: খিলগাঁও রেলগেট এলাকা
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়। এই অভাবের সময় টিসিবির পণ্য এনে দিচ্ছে কিছুটা স্বস্তি। ছবি: হাতিরপুল এলাকার
লকডাউনেও সড়কগুলোতে ছিলো রিক্সার জ্যাম। অন্য যানবাহন না থাকায় ভাড়াও নিচ্ছে চড়া। ছবি: রাজারবাগ এলাকা
লকডাউনে ফুটপাতের দোকান বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা চলে গেছে গ্রামের বাড়ি। পরিত্যক্তভাবে পড়ে আছে দোকানের মালামাল। ছবি: বায়তুল মোকাররম এলাকা
শার্টার বন্ধ রেখে বাইরে ক্রেতার অপেক্ষা দোকানির। তবে সতর্ক থাকতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীকে নিয়ে। ছবি: হাতিরপুল এলাকা
সড়কগুলোতে ছিলো ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় অনেকেই আবার এসব ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে ভাড়া মারছেন। ছবি: শাহবাগ এলাকা
লকডাউনে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে ছিলো ঢিলেঢালাভাব। যেন অলস সময় যাচ্ছে। তেমন কোন গুরুত্ব নেই লকডাউন নিয়ে। ছবি: তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকা
দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কঠোর লকডাউন সফল করতে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সাননিউজ/ জেআই