নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় ব্যবসায়ীকে পিটুনির ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লার ভূমিকা তদন্তে কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
এর আগে এক পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছিল প্রশাসন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করার পরও মারধরের ‘নির্দেশদাতা’ ইউএনওর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সমালোচনার মধ্যে রোববার বিকেলে এই সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন।
তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক শফিকুল ইসলামকে। তবে কত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে, সেই বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক। তবে সময় নির্ধারণ করে দেননি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করবেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের জাগীর বাজারে। মারধরের শিকার হন তপন চন্দ্র দাশ। তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানাও করেন ইউএনও রুনা লায়লা।
প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আসে যে, ব্যবসায়ী তপন চন্দ্র দাশ ইউএনওকে ‘আপা’ সম্বোধন করায় তাকে পিটুনি দেয় পুলিশ।
ইউএনও এই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একটি জাতীয় গণমাধ্যমে তার প্রতিবাদলিপি ছাপার পর নিজের ফেসবুক পেজে সেই প্রতিবাদলিপি পোস্টও করেছেন। তবে সেই ব্যবসায়ীকে মারধরের বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না।
ইউএনও রুনা লায়লা তার প্রতিবাদলিপিতে ‘আপা’ ডাকা প্রসঙ্গ তুললেও ব্যবসায়ীকে পিটুনির নির্দেশের বিষয়ে কিছু বলেননি।
আবার ইউএনওর নানা অভিযানের ছবি উপজেলা পরিষদের ফেসবুক পেজে নিয়মিত পোস্ট করা হলেও বৃহস্পতিবারের একটি ছবিও পোস্ট করা হয়নি।
গণমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর শুক্রবারই মারধরে জড়িত সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মোল্লা।
সান নিউজ/এফএআর