নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের নিহতের ঘটনায় দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাথে সাথে আরও কয়েকজন কর্মকর্তাসহ মোট ৮ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা নজরদারিতে রয়েছে।
আটক অন্য সাতজন হলেন- হাসিব বিন হাসেম (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১), শাহান শাহ আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৪) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।
এদের মধ্যে শাহান শাহ আজাদ সজীব গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। মামুনুর রশিদ হাসেম ফুডস লিমিটেডের ডিজিএম ও মো. সালাউদ্দিন হাশেম ফুডস লিমিটেডের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যাডমিন অফিসার হিসেবে কর্মরত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ও মর্মান্তিক। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত করছি এবং আশা করছি যারা অসুস্থ তারা ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, তিনটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তের পরই বলা যাবে কার দোষ কতটুকু। কিন্তু তদন্তে কারো নির্মাণ ত্রুটি, শ্রমিক পরিচালনায় ত্রুটি বা কেউ যদি সামান্য ভুলও করে থাকেন তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় শিশুশ্রম নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তদন্তে সেটি বেরিয়ে আসলে অবশ্যই বিচার হবে।
শ্রমিকরা ছাদে তালাবদ্ধ ছিল এমন অভিযোগ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, তদন্তের সামান্যতম ত্রুটি বা গাফিলতি যদি পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে কারখানার মালিক বর্তমানে কোথায় রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করেছি। সবাই নজরদারিতে রয়েছে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সকালেই বলেছিলেন, এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কারখানা সংশ্লিষ্টরা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৪ (ক), ৩০৭, ধারাগুলো আসতে পারে। এসব ধারায় অবহেলাজনিত হত্যার বিষয়গুলো থাকবে।
সান নিউজ/এফএআর