নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এই অনুমতি দেন।
এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিতে মজনুকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে আদালত ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড হতে ৪০-৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছায় ভিকটিম। এরপর আসামি পেছনের দিক থেকে ভিকটিমের গলা ধরে ফুটপাতে ফেলে দেয় এবং গলা চেপে ধরে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর মজনু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানার শেওড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাব আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার মজনুকে নিয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব জানায়, মজনু মাদকাসক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। তিনি এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেন।
র্যাব আরও জানায়, কয়েক বছর আগে মজনু বিয়ে করেছিলেন, তার স্ত্রী মারা গেছেন। পেশায় হকার মজনু চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত।
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা নামার পর তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।