জাহিদ রাকিব : দেশব্যাপী চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর দিকে রাজধানীতে বেশ কড়াকড়ি থাকলেও গত তিন-চারদিন ধরে কিছুটা ঢিলেঢালা লকডাউন পালন করতে দেখা গেছে। এরই মধ্যে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, সড়কে দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষের আনাগোনা।
শুক্রবার (৯ জুলাই) কিছুটা উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে মানুষ নেই বললেই চলে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িও তেমনটা দেখা যায়নি, এমনকি রিকশার সংখ্যাও ছিলো কম। তবে পাড়ামহল্লায় অলিগতিতে সকালে বাজার করতে আসা ও বিনা কারণে আসা মানুষের কিছুটা চাপ দেখা গেছে।
সকালে রাজধানীর নগরীর, সিফাহিবাগ, রাজারবাগ, মৌচাক, মগবাজার, শান্তিনগর, হাতির ঝিল কাকরাইল, ফকিরাপুল, পল্টন, গুলিস্তান, শাহবাগ, বাংলামোটর এমনকি ব্যস্ততম কাওরান বাজার এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় যানবাহন নেই বললেই চলে। হাতে গোনা কয়েকটি রিকশা থাকলেও বেশিরভাগেই খালি দেখা গেছে।
রিকশার চালকরা বলছেন, রাস্তায় কোনো মানুষ নেই, তারা যাত্রীও পাচ্ছেন না। তাই এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করছেন।
সকালে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় কথা হয় রিকশা চালক আরিফ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বের হয়েছি। এখন ১০টা বাজে। এই পুরো সময়ের মধ্যে একজন যাত্রীও পাইনি। রাস্তায় মানুষও নেই, কিছু মানুষ বাজার করতে বের হয়েছে। তাও তাদের বেশিরভাগ হেঁটে চলাফেরা করছেন, কোনও যাত্রী পাচ্ছি না। লকডাউনের শুরুর দিকেও এমন ছিলো না বলে দাবি করেন তিনি।
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কাওরান বাজার এলাকায় প্রায় একইরকম। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে কোনও যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ট্রাফিক বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েক মিনিট পরপর এক দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি, আবার কখনো কাওরান বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বের হওয়ার দুই একটি গাড়ি দেখা গেছে।
তবে নগরীর অলিগলির চিত্র একটু ভিন্ন দেখা গেছে। গলির কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকালে বাজার সেরে অনেকে বাসায় ফিরেছেন। এ সময় গলির দোকানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব তেমন মানা না হলেও ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক দেখা গেছে।
খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারের দোকানদার ইমরান ইসলাম বলেন, 'মানুষের মাঝে কিছুটা সচেতনতা এসেছে। আগের তুলনায় ক্রেতাও কম। সচেতন যারা তারা প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। আমরাও চেষ্টা করি মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার সদাই করতে পারেন'।
উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলমান বিধিনিষেধ যা শেষ হবে ১৪ জুলাই রাত ১২ টাই।
সান নিউজ/ এসএ