নিজস্ব প্রতিবেদক:
এতে ‘ঈদ-উল-ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না’ উল্লেখ করে সাধারণ ছুটির সময় ১৬ মে বাড়িয়ে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৪ মে) সাধারণ ছুটির পরিধি বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে কিছু নির্দেশনাও যোগ হয়েছে।
এই নির্দেশনার কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে যেখানে দায়িত্ব পালন করছেন সেই অঞ্চলের বাইরে যেতে পারবেন না।
এছাড়া নতুন ছুটিতে আরেকটি বিষয় যুক্ত করেছে সরকার। তা হলো রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। এর আগে এমন নির্দেশনায় রমজান ও ঈদের কথা উল্লেখ ছিল না।
করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরো চার দফায় ছুটি বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল।
আদেশে বলা হয়, ছুটিকালীন জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
ছুটি বাড়ানোর আদেশে আরো বলা হয়, সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিস প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। সেই সঙ্গে তারা তাদের অধিক্ষেত্রের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এবারের ঈদে যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই ঈদ পালন করতে হবে। এই প্রজ্ঞাপন শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য নয়, দেশের সব মানুষের জন্য।
প্রজ্ঞাপনে ১৪ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১৫ ও ১৬ সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত থাকবে। এতে করে দেশব্যাপী টানা ছুটি ৫৩ দিনে গড়ালো।
সান নিউজ/সালি