নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়া জমজ চারশিশুর মধ্যে দুজন মারা গেছে। বুধবার (৭ জুলাই) রাত ১২টার দিকে একশিশু এবং বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। বাকি দুইশিশু চিকিৎসাধীন।
ঢামেকের সহকারী পরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, প্রথমে মারা যাওয়া শিশুর ওজন ছিল মাত্র ৮০০ গ্রাম, মারা যাওয়া দ্বিতীয় শিশুর ওজন ছিল ৯০০ গ্রাম।
জমজ চারশিশু বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, গতরাতে মারা যাওয়া শিশুকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, জমজ চারশিশুর দুজন মারা গেছে। আরও এক শিশুর অবস্থাও ভালো না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের গাইনী বিভাগে সিজারের মাধ্যমে চার সন্তান জন্ম দেন পিংকি আক্তার। সিরাজুল-পিংকি দম্পতির গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ঘোষপাড়ায়। তাদের মাহিন নামে চার বছরের আরও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম রাজধানীর বাড্ডায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি। তিনি বাড্ডার সাতারকুলে থাকেন। স্ত্রী থাকতেন গ্রামে। তিন মাস আগে স্ত্রীকে ঢাকায় এনে নিজের কাছে রাখেন।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, বাচ্চাদের মা সুস্থ আছেন। চারশিশু সাত মাসে জন্ম নেওয়ায় কিছুটা সমস্যাও রয়েছে। ওজনও তুলনামূলক কম, একজনের ওজন এক কেজি ৩০০ গ্রাম, বাকি তিন জনের ওজন ৯৫০ গ্রামের মধ্যে। তাই তাদের শিশু আইসিইউ’র প্রয়োজন হয়। আমাদের এখানে তাৎক্ষাণিক আইসিইউ খালি না থাকায় প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখতে হয়। পরদিন বেড খালি হওয়ার পর তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে নবজাতক ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখানে তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এমআর