নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবাধে বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চলাচল করছে। সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তবে নেই শুধু গণপরিবহন। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল থেকেই সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। অবাধে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অফিসের বড় বাসও চলাচল করছে। অনেকে রিকশায় চড়ে নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। কেউ কেউ চলাচল করছেন হেঁটেই। এছাড়া বিভিন্ন মোড়ে অসংখ্য মানুষকে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
পুলিশ চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালাভাবে। তবে যেসব চেকপোস্টে গাড়ি থামানো হচ্ছে, সেসব জায়গায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এসব দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।
মূল সড়কের পাশেই শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত জালাল জানান, গত দুই-তিন দিন ধরেই রাস্তায় প্রাইভেটকার, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতিও অনেক বেশি। শুরুতে সড়কে রিকশা এত বেশি দেখা যায়নি। আগে ব্যক্তিগত গাড়ি চেক করা হলেও এতো গাড়ি দেখা যায়নি।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়ামে একজন কর্মী। তিনি জানান, অফিস খোলা। অফিসের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। অফিসের অর্ডার যেতে হবেই। অফিসের যেহেতু গাড়ির ব্যবস্থা আছে, তাই তারাও চেষ্টা করছেন অফিস করার।
বিধিনিষেধের শুরুতে উত্তরা পূর্ব থানার সামনের চেকপোস্টে কঠোরতা দেখা গেছে। কিন্তু আজ সেখানে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। চেকপোস্টে গাড়ি থামালেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া দায়িত্বরতরা একদিকে গাড়ি চেক করতে গেলে অন্যদিক দিয়ে দুই-চারটি গাড়িকে দ্রুত বেগে চলে যেতে দেখা গেল।
সেখানে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, সবাই উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে যাচ্ছেন। সবাই সরকারি নিয়মের মধ্যে পড়েই যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মচারী জানান, তিনি টঙ্গী থেকে জসীম উদ্দীন রোডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ব্যাংক খোলা থাকলেও অফিসের পক্ষ থেকে কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়নি। অফিসের বড় কর্মকর্তারা হয়ত গাড়ির সুযোগ-সুবিধা পান। কয়েক মাইল হেঁটে অফিসে যেতে হয় তার।
টঙ্গী থেকে রিকশায় উত্তরার রাজলক্ষ্মী এলাকায় এসেছেন তাজ উদ্দিন আহমেদ নামের একজন। তিনি বলেন, রিকশায় এসেছি। খুব বেশি সমস্যা হয়নি। ব্যাংকে কাজ আছে, আসতে হলো। না এসে উপায়ও নেই।
সাননিউজ/এমএইচ