কঠোর লকডাউনে রাজধানীর একটি সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ -ছবি: সান নিউজ
জাতীয়

লকডাউনেও বাড়ছে সংক্রমণ

সান নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে৷ মৃত্যু ও সংক্রমণে প্রতিদিনই গড়ছে নতুন রেকর্ড৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে চলমান ‘কঠোর লকডাউনে’ এই সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব কিনা?

১ জুলাই থেকেকঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে৷ চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত৷ তবে ঈদুল আজহার সময় কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ঈদের সময় চলাচলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ গরুর হাটকে নিরুৎসাহিত করে অনলাইন হাটের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে৷ যদিও এরই মধ্যে পশু পরিবহনের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে।

কিন্তু ঈদের সময় চলাচল এবং গরুর হাটে নিয়ন্ত্রণ আরোপের স্পষ্ট কোনো নীতিমালা এখনো প্রকাশ করা হয়নি৷ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সারাদেশে গরুর হাট বসানোর পুরো প্রস্তুতি চলছে এবং গরুর হাট কমানোর কেনো নির্দেশনাও এখনো দেয়া হয়নি৷

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে এবার ২৩টি গরুর হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে৷ এরমধ্যে দক্ষিণে ১৩টি এবং উত্তরে ১০টি৷ গত বছরও একই অবস্থা ছিলো৷

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, এখন যা পরিস্থিতি তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে ঈদের সময়৷ গরুর হাট ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঈদের পর গ্রাম থেকে শহরে আরো করোনা আসবে৷

ঈদের আগে যাবে শহর থেকে৷ শহরে ছাড়িয়ে করোনা এখন গ্রামে দাপট দেখাচ্ছে৷ গ্রামের অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পরছেন না৷

চিকিৎসকেরা বলছেন, লকডাউন চললেও ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে৷ বড় সড়কে যানবাহন চলছে না এটা দেখে বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে না৷ কারণ শহরের অলিতে গলিতে লোকজন আড্ডা দিচ্ছেন। আর গ্রামেও একই অবস্থা ৷ স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছেন না এবং মাস্ক পরায় তাদের ব্যাপক অনীহা৷

ডা. মুশতাক মনে করেন, এই লকডাউনে কতটা সংক্রমণ কমেছে তা ১৪ জুলাইর পর বোঝা যাবে৷ আর মৃত্যূ কমছে কিনা তা বুঝতে ১৪ জুলাইর পর আরে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে৷ আশা করি কিছুটা সুফল পাওয়া যাবে৷ তবে আরো বেশি সুফল পেতে হলে চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরো কঠোরভাবে আরো করতে হবে৷

তিনি মনে করেন, ঈদের সময় তাই কোনো ছাড় দেয়া যাবে না৷ সেটা হলে এখনকার লকডাউনের কোনো ফলই স্থায়ী হবে না৷ সেটা করতে হলে গরিব মানুষকে খাদ্য আর অর্থ সহায়তা দিতে হবে৷ তা না হলে তাদের ঘরে আটকে রাখা যাবে না৷

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ৫০ ভাগ বলা হলেও বাস্তবে মোট আক্রান্তের ৭০ ভাগ এখন গ্রামে৷ শুরুতে ঢাকা হটস্পট হলেও এখন প্রতিটি জেলা উপজেলাই হটস্পট৷ সীমান্তে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আটকাতে না পারায় এই পরিস্থিতি হয়েছে৷

গ্রামে অনেক রোগীর তথ্য আমাদের কাছে নেই৷ তারা হাসপাতালেও যাচ্ছেন না৷ টেস্টও করাচ্ছেন না৷ সর্দি কাশি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ তাই এবারের লকডাউনের উদ্দেশ্য হলো ঢাকায় যেন গ্রামের মানুষ আসতে না পারে৷ তবে তার ফল বুঝতে আরো সাত থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে৷

তিনি আশা করেন সংক্রমণ কমবে৷ কিন্তু সেটা শতকরা পাঁচ ভাগের নিচে নামিয়ে আনতে হবে৷ তার মতে, সেটা করতে হলে লকডাউন আরো অব্যাহত রাখতে হবে৷ ঈদকে বিবেচনা করলে চলবে না৷ যদি ঈদের সময় ঢিলেঢালা হয়ে যায় তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷

বাংলাদেশে গড়ে এখন প্রতিদিন ১০ হাজার আক্রান্ত হন৷ কিন্তু তাদের মধ্যে হাসপাতালে যান পাঁচশর মতো৷ডা. মোশতাক বলেন, ‘বাকি যারা বাড়িতে থাকেন তাদের ব্যাপারে মনিটরিং নেই৷ সেই কারণেও সংক্রমণ বাড়ছে৷’ অবশ্য এই দুইজন চিকিৎসকই মনে করেন, করোনা কার্যকরভাবে ঠেকাতে হলে গণটিকার কোনো বিকল্প নেই৷ সূত্র-ডয়চে ভেলে

সান নিউজ/এমএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঈদের পরে পর্যটন কেন্দ্রের হালহাকিকাত

বিনোদন প্রতিবেদক: রমজান মাসে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রায় সুনসান নীরব...

বিমসটেক সম্মেলনের পথে প্রধান উপদেষ্টা

সান ডেস্ক: এশিয়ার শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ...

সমাজে এখনও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল এ...

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসে...

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা