কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পোশাক-খাত, শিল্প-কারখানা খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
৩ মে রবিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু রাখা’ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা উভয়ই ঠিক রাখতে হবে।
শিল্প, কল-কারখানা বিশেষত তৈরি পোশাকখাত দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হলে এই শিল্প বিশ্ব বাজার হারাতে পারে। এতে দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য হতে পারে হুমকি।
সভায় তৈরি পোশাকখাত চালু রাখতে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেশ কিছু জোরোলো নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
*স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পোশাকখাতের নেতাদের সঙ্গে একটি আলাদা সমন্বয় কমিটি থাকবে। এই কমিটি পোশাক-খাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করবে।
*শ্রমঘন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর তিনটি জোনকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এক অঞ্চলের শ্রমিক অন্য অঞ্চলের কল-কারখানায় চলাচল করতে পারবে না। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে বাইরের জেলায় কেউ গেলে সেখানেই তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
*তৈরি পোশাকখাতের নিজ উদ্যোগে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় রেখে টেস্টিং সুবিধা বাড়াতে হবে।
*শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং শ্রমিকদের থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতে স্বাস্থ্য সুবিধা রাখতে হবে।
*এছাড়া কোন কারখানায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে সেই কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।
এর আগে একই স্থানে শিল্পখাত খোলা রাখা প্রসঙ্গে শিল্পখাতের সংস্থাগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সব সংগঠনের নেতারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি গুরুত্বের সঙ্গে পালনের কথা জানান।
সান নিউজ/সালি