জাহিদ রাকিব
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধের ষষ্ঠদিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
তিনি বলেন, জীবনের প্রয়োজনে সকলকে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
পলাশ কুমার আরও বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে মানুষ যাতে বিনাকারণে বাসা থেকে বের না হয় সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাক্স ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেকে পুরান ঢাকায় যাচ্ছেন কেনা-কাটার জন্য। ফলে আমরা তাদের জরিমানার আওয়াতায় নিয়ে আসছি।
এক চেক নিয়ে তিনজন যাচ্ছিলেন ব্যাংকে, আমরা তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কারো কাছ থেকে সন্তোষজনক কোনো উত্তর না পেলে জরিমানা করা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর যাচ্ছিলেন ঝিগাতলা থেকে ফকিরাপুলে। দোকানে চুরি হওয়ায় তারা সেখানে যাচ্ছিলেন। এ সময় র্যাব তাদের ৫০০ টাকা জরিমানা করে।
এদিকে সোমবার (৫ জুলাই) বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে দেশব্যাপী র্যাবের ১৯০টি টহল ও ২০৬টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে র্যাবের জনসচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচিও চলমান ছিল।
এছাড়াও র্যাব জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যম দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। বিনা প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় অনর্থক ঘোরাফেরা করা, মাস্ক পরিধান না করা, মোটরসাইকেলে দু’জন আরোহণ করাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ অমান্য করায় দেশব্যাপী পরিচালিত ৪২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৫০জনকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৫ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় সরকার ৭দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই সময় মন্ত্রিপরিষদ থেকে বলা হয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে বাসা থেকে বের না হয়।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর