নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ঘোষিত সাতদিনের কঠোর লকডাউনে রাজধানীর শাহবাগে পঞ্চম দিনে অভিযান পরিচালনা করছেন রমনা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. নূরুন্নবী। অভিযানে তারা ১২টি মামলায় ৯২.১ ধারায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
সহকারি পুলিশ কমিশনার বলেন, সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ চেকপোস্টে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি বিনা কারণে বের হওয়া লোকদের বাসায় ফিরিয়ে দিচ্ছে। তিনি সবাইকে লকডাউনে অযথা ঘুরাঘুরি ও বিনা কারণে বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন।
দেখা যায়, অন্যান্য দিনের চেয়ে কঠোর লকডাইনের পঞ্চম দিনে সড়কে গাড়ির চাপ অনেকাংশে বেড়েছে। চলমান লকডাইনের প্রথমদিকে রাজধানীর সড়কে রিক্সার আধিপত্য থাকলেও সোমবার প্রাইভেট ও অন্যান্য পরিবহনের দখলে নিয়েছে রাজধানীর সড়ক।
তবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ কর্মজীবীদের। সেই সঙ্গে হাসপাতালে যাতায়াতকারী রোগী ও স্বজনদের শিকার হতে হচ্ছে বাড়তি বিড়ম্বনার। মোড়ে মোড়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সাথে তাদের যৌক্তিক কথা না শুনে পুলিশ তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাধিক রোগী ও তাদের স্বজন।
কথা হলে বেসরকারি কোম্পানীর একজন কর্মজীবী সোহেল হায়দার সান নিউজকে বলেন, তার অফিস মতিঝিল। থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। তাদের কোম্পানীর কোন পরিবহন সুবিধা না থাকায় বাধ্য হয়ে হেটে অফিসে যেতে হচ্ছে। রিক্সা ভাড়াও অনেক বেশি হওয়াতে আর কোন উপায়ও নেই তার।
সোহেল হায়দার জানান, লকডাউনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। কিন্তু যাদের পরিবহন সুবিধা ও প্রাইভেট আছে তারা ঠিকই সড়কে আধিপত্যের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদিকে চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সান নিউজ/এমএম