নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাসাবোতে উর্মি আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিতে ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে নিজেই নিজের প্রাণ নিয়েছে। ১৪ বছরের এই স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, একই এলাকার এক যুবক প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীর অশ্লীল ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।
উর্মির ফুফা জনি শেখ জানান, ওই যুবক অশ্লীল ছবিগুলো দেখিয়ে উর্মিকে জিম্মি করে ফেলে। প্রেমিক বিভিন্ন সময় তার কাছে নানান আবদার করতো। প্রায়ই টাকা চাইতো, মেয়েটিও বিভিন্নভাবে টাকা দিয়ে আসছিল। এভাবে চলতে চলতে মেয়েটি এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পরিবারও বিষয়টি জেনে যায় এবং তাকে শাসন করেন। প্রতিনিয়তই মা শাসন করেন। এর জেরে উর্মি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
তিনি জানান, রোববার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসাবোতে ভাড়া বাসায় উর্মিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে পরিবারের সদস্যরা। সে সবার অগোচরে রাতে দরজা বন্ধ করে রুমের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে স্বজনরা দরজা ভেঙে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উর্মির ফুফা বলেন, আমি এখনো ছেলেটার নাম জানতে পারিনি, তবে একই এলাকায় থাকে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।
উর্মি স্থানীয় একটি স্কুলে পড়তো। সবুজ বাগের বাসাবো নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। তার বাবা-মা ধলপুর এলাকায় একটি বস্তিতে থাকেন। মেয়েটির বাবার রিকশার গ্যারেজ রয়েছে। মা সিটি করপোরেশনের ক্লিনার পদে চাকরি করেন। দুই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।
সান নিউজ/এমআর