সান নিউজ ডেস্ক:
ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, শুরুতে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল আঘাত হানতে পারে। পরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আগামী ৫ মে’র পর এর গতিপথ পরিবর্তন করে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল ও গতিপথ নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
তার বলছেন, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। বাংলাদেশের পটুয়াখালী, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী উপকূলে ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে। আর সুন্দরবনে ক্যাটাগরি-২ মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা আরও বলছেন, আগামী ১২ ও ১৩ মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বরিশাল পর্যন্ত যে কোনও এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। উপকূল অতিক্রমের পূর্বে কিছুটা দুর্বল হতে পারে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের ‘আম্ফান’ নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড। ‘আম্ফান’ ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় তালিকার শেষ নাম।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে আজ ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকলেও এ মৌসুমে তার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ।
তিনি আরও জানান, ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।