ফারুক আহমাদ আরিফ
কেরানিগঞ্জের আঁটিবাজারে গত দুইদিন বিদ্যুৎ নেই। এলাকাটি রাতে থাকে অন্ধকারে ঢাকা। এলাকাবাসী স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করে কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি।
উপরন্তু সংকট সমাধানের পরিবর্তে বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকেরা ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিদ্যুৎ দেব না, যা পারেন করেন।
এই অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা সংকট সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তারা বলেছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি গোসল ও শৌচকর্মের পানিও তারা পাচ্ছে না। অনেকেই বাধ্য হয়ে ছাঁদ থেকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে খাবার পানির অভাব পূরণের চেষ্টা করছেন। আশপাশের মসজিদ থেকে সংগ্রহ করছেন পানি।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ৪ টায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ট্রান্সমিটারটি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর দুইদিন অতিবাহিত হলেও সেটি মেরামত করা হয়নি। ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর অফিসে বিষয়টি জানালেও তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি। এতে স্থানীয়রা চরমদুর্ভোগে পড়েছেন।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর কলাতিয়া জোনাল অফিসে ফোন দিলে মকবুল হোসেন নামের একজন কল রিসিভ করে বলেন, ওটি একটি মার্কেট। লকডাউনে মার্কেট বন্ধ থাকায় আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দিইনি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় এলাকাটি আবাসিক। এবং আবাসিক গ্রাহকই বেশি!
মানুষজনের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে বিদ্যুতের অভাবে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি মোবাইলে আপত্তিজনক কথা বলেন। উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন বিদ্যুৎ দেবো না, যা পারেন করেন।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪এর এজিএম ও কলাতিয়া জোনাল অফিসের প্রধান বেলাল হোসেন সাননিউজকে বলেন, আমরা সমস্যাটি শনাক্ত করেছি। আজ লোক পাঠাবো ট্রান্সমিটারটি মেরামত করতে।
সাননিউজ/এফএআর