জাহিদ রাকিব: রাজধানীর তেজগাঁও জোনের ডিসি মো. শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে মানিক মিয়া এভিনিউতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনটার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে রাজধানীর কোথাও কঠোরতা আবার কোথাও ঢিলেঢালা অবস্থা দেখা গেছে। অনেককে করা হয়েছে আর্থিক দণ্ড।
এদিকে মগবাজার সাতরাস্তা, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকায় সব গাড়িকেই থামিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ থাকলে কাউকে আটকানো হচ্ছে না। তবে মোটরসাইকেলগামী যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। দুইজন যাত্রীয় নিয়ে চলাচল করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি রিকশায় দুইজন থাকলে একজন নামিয়ে দেওয়া হয়।
ফার্মগেট এলাকায় র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্ব অভিযানে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। পাশাপাশি একজনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সবাইকে স্বাস্থবিধি মানাতে এবং কেউ যাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে তাই তাদের এই চেকপোস্ট। কেউ যদি বিনা প্রয়োজনে বের হয় তাহলে তাদের আইনের আওয়াতাই আনা হচ্ছে। এই পর্যন্ত আমরা একজনকে কোন যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
শামসুদ্দিন বলেন, তিনি গাড়ির চাকা হাওয়া দিতে বের হয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কারণটিকে যৌক্তিক মনে না হওয়ায় তাকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে
ফার্মগেট এলাকায় , এই সময় সবাই কোন না কোন জরুরি কাজে বের হয়েছেন। কেউ হাসপাতালে কেউ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী, কেউ ব্যাংকার। চেকপোস্ট যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সবাই পার হতে হচ্ছে।
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় মো. জলিল হোসেন তার স্ত্রীসহ বোনের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন। এই সময় সঠিক উত্তর দিতে না পারায় রিকশা থেকে তাদের নামিয়ে দেয়া হয়। পরে তাদের দুইজনকে বাসায় ফিরে যেতে বলেন।
এ সময় মগবাজার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সার্জেন্ট সোহেল রানা বলেন, সকালে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুইজকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, একজন গার্মেন্টসকর্মী পরিচয় দেয়, কিন্তু কোন পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তাদের আর্থিক দণ্ড দেয়া হয়। অন্যজন ওষুধ কেনার নাম করে রাস্তায় হাঁটাহাটি করায় জরিমানা করা হয়।
চেকপোস্টে কথা হয় মো. জলিল হোসেনের সাথে, তিনি তার স্ত্রীসহ বোনের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন। এ সময় পুলিশ তাদের রিকশা থেকে নামিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য সরকার ঘোষিত লকাডাউনে কেউ জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত বাসা থেকে বের হতে পারবে না। এমন আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সাননিউজ/জেআই/এফএআর