নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারির বিস্তার রোধে আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। যা আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। লকডাউন সফল করতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
লকডাউনের প্রথম দিন সকালে রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ তৎপর রয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি ও পথচারীদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করছেন তারা।
জরুরি প্রয়োজনে এবং নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে যেসব অফিস খোলা আছে, সেসব অফিসের কর্মীদের সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
লকডাউনে বিনা কারনে বাইরে বের না হওয়ার কথা বলা হলেও রাজধানীর চায়ের দোকানগুলোতে জনসমাগম দেখা গেছে। দোকানের অধিকাংশই লকডাউনের ব্যাপারে উদাসীন। ব্যবহার করছেন না মাস্ক, মানছেন না শারীরিক দূরত্ব।
এদিকে প্রজ্ঞাপন অনুসারে, কঠোর লকডাউন চলাকালে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন। অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল না করলেও চালু থাকবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শন করে গাড়ি ব্যবহারপূর্বক যাতায়াত করতে পারবেন।
বিধিনিষেধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র বহন করে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র ও স্থল) এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিস এই নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিল্প কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।
সান নিউজ/ এমএইচআর