নিজস্ব প্রতিবেদক: সীমান্ত এলাকায় অপরাধ ঠেকাতে সীমান্ত ঘেঁষে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি, মাদক বেচাকেনা, অর্থপাচার, মানবপাচার এমনকি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্ক। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলে মোবাইল নেটওয়ার্কের অপব্যবহারের বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। এমনকি এ মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা জনসভা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। আমাদের ও বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্য করা যায়, ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ৮-৯ লাখ সিম বাংলাদেশ মোবাইল অপারেটরদের। তার মধ্যে আরও ৩-৪ লাখ সিম মিয়ানমারের মোবাইল কোম্পানি এমটিপির। আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের দাবি জানালে, সরকার ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমারে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয়। ঠিক এরপর থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করে।
গ্রাহকদের দ্রুত সেবা ও ব্যবসার স্বার্থে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর নাফ নদীর পাড়ে মোবাইল টাওয়ার বসায়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা বিবৃতি দিলে দেশের জাতীয় অনলাইন ও পত্র-পত্রিকাগুলো এমনকি বিবিসিতেও সেই বক্তব্য প্রচারিত হয়। বর্তমান সময়ে টেকনাফের স্থানীয় নাগরিকরা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে বিড়ম্বনায় পড়লেও রোহিঙ্গারা ঠিক ওই ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। একইভাবে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে রিলায়েন্স জিও মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ার থাকায় সীমান্ত এলাকার নাগরিকরা সহজেই অন্য দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থ পাচার অপরাধমূলক এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা তথ্য পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে দুই দেশের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কমিশনের আইন অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
সাননিউজ/ জেআই