জাহিদ রাকিব : করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের শেষ দিনে মোটরসাইকেল রাইডাররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। অ্যাপস বন্ধ থাকায় তারা যাচ্ছেন চুক্তিতে। তাতে গন্তব্যে যেতে গুণতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল গুলো অফিসমুখী মানুষদের কাছ থেকে ভাড়া চাচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই থেকে তিনগুন।
রামপুরা থেকে কারওয়ান বাজার যাবেন মাসুম হোসেন। আগে যেতেন হাতিরঝিল চক্রাকার বাসে করে। কিন্তু সরকার ঘোষিত লকডাউনে এখন যেতে হচ্ছে রিকশায় বা মোটরসাইকেলে। আজকে মোটরসাইকেল ভাড়া চাচ্ছে তিনগুন। কারওয়ান বাজার ভাড়া চাচ্ছে ১৫০ টাকা। যা গতকালও ছিলো ৫০-১০০ টাকা।
গুলশান এলাকায় চাকরি করেন ইমরান হোসেন। প্রতিদিন তিনি বাস যোগেই অফিসে যান। কিন্তু গত কয়েকদিন যেতে হচ্ছে রাইড শেয়ারিং এ। গুলশানে ভাড়া ছিলো ১২০ -১৩০। যা আজ ১৮০-২০০ টাকা চাচ্ছে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সব লকডাউনে সরকারের শর্ত কাগজেই থাকে। আমাদের উপর বাস্তবায়ন হয় না। কষ্ট আমাদেরই করতে হয়। যাতায়াতে যে পরিমাণ ভাড়া ব্যয় হয়- তাতেই বেতনের বড় অংশ চলে যায়।
অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কথা হয় কয়েকয়টি রাইডশেয়ারিং চালকের সাথে। তারা বলেন, মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট থাকায় পুলিশ মামলা দিচ্ছে। ফলে ভাড়া একটু বেশি।
পাশ থেকে আরেকজন বলেন, আজকে তো শেষ দিন। কালকে থেকে তো সব বন্ধ থাকবে। তাই আজকে ভাড়া একটু বেশি।
এই বিষয় নিয়ে কথা হয় রামপুরা পুলিশ বক্সের ট্রাফিক সার্জেন্ট সাজ্জাদ হোসেনের সাথে। তিনি সান নিউজকে বলেন, লকডাউনে মোটরসাইকেল বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু মানবিক কারনে আমরা কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। আগামীকাল থেকে আমরা কঠোর হবো।
সান নিউজ/এসএম