নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে গত দুই মাসে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; তাদের ৮০ শতাংশের শরীরে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তাদের গবেষণায় পাওয়া এ ফল জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শুরুতে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ নামে পরিচয় পায়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এটিকে ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট’ নামকরণ করেছে। ভারতে প্রথমবার এই ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের অক্টোবরে। ধরনটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি অতি দ্রুত এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়। ডেলটার কারণেই ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।
গত ৮ মে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) বাংলাদেশে করোনার এই ধরন শনাক্তের খবর দেওয়া হয়। এর নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। সেখানে বলা হয়, গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সংগৃহীত নমুনা থেকে ডেলটা ধরন মেলে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এ ধরন পাওয়া যায়।
তখন আইইডিসিআর সূত্র জানায়, ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, গত মে ও জুন মাসে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ৮০ শতাংশের মধ্যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরিয়েন্ট এবং বাকিদের মধ্যে অন্য ক্রিয়াশীল ধরন পাওয়া গেছে। দেশের প্রায় সব এলাকা থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে শুরু করে। পরে তা আশপাশের জেলাগুলোয়ও ছড়িয়ে পড়েছে।
সান নিউজ/এমআর