নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য আরোহী বহন না করার বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে গেলে রাজধানীতে যাত্রীরা এসব রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সেবা নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন। তারা সেবা নিতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জারি করা নির্দেশনায় রাইড শেয়ারিং কার্যক্রম সীমিত সময়ের জন্য স্থগিত রাখছে এসব প্রতিষ্ঠান। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অ্যাপস সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান কোনো ঘোষণা দেয়নি। পাঠাও কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৮ জুন) থেকে প্রতিষ্ঠানটি সেবা বন্ধ রেখেছে।
উবার সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত গ্রাহকদের কিছু জানায়নি। উবারের অ্যাপস চালু করলে শুধু উবারের মটো কানেক্ট (পার্সেল) সেবা চালুর আছে বলে দেখা যাচ্ছে।
রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধ রাখলেও উবার, পাঠাও, সহজ, ই-ফুড ও ফুডপান্ডাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ফুড এবং পার্সেল সেবা চালু রেখেছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৮ জুন) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য আরোহী বহন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, লকডাউনের মধ্যে মোটরসাইকেলে চালকের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তি রাইড শেয়ার করছেন। অথবা কেউ কেউ পেশাগত কারণেও রাইড শেয়ার করছেন। ফলে একই হেলমেট বারবার বিভিন্ন মানুষ ব্যবহার করছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকছে। রোববার (২৭ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তার আলোকে বিআরটিএ রোববার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। বিআরটিএ এর সদর দফতরের পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সকল গণপরিবহন বন্ধ করা হলো।
সান নিউজ/এমএম