নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত ১৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (২৮ জুন) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিকেলে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এ তথ্য জানান।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ জুন পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ ছিল। ভারতের করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় যাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তিপত্র নিয়ে তাঁরা নির্ধারিত স্থলসীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে স্থলসীমান্ত বন্ধ থাকলেও এ সময় পণ্য পরিবহন অব্যাহত রয়েছে।
তবে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও প্রথম দফায় দেশটিতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়। এখনো একই নিয়মে দেশে ফিরতে পারছেন বাংলাদেশিরা।
সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশের সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। পরে অবশ্য দর্শনা, হিলি ও সোনামুখী বন্দর দিয়েও ফেরার সুযোগ দেয় সরকার। এরপর সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার প্রকোপ বাড়ায় সোনামুখী বন্দর দিয়ে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরা বন্ধ করে সরকার।
তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে।
২১ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত কত লোক ফিরেছেন জানতে চাইলে মাশফি বিনতে শামস জানান, এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২৫০টি অনাপত্তিপত্র ইস্যু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশই দেশে ফিরেছেন।
সাননিউজ/এফএআর