নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাম আদালতের ন্যায় নগর আদালত প্রতিষ্ঠা করার দাবী যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম।
সোমবার (২৮জুন) 'নগর আদালত আইন: প্রস্তাবিত রূপরেখা এবং বাস্তবায়নের সম্ভাবনা' শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশন।
ভার্চুয়াল সংলাপে মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মত নগর বা শহরেও গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষ বসবাস করেন। ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য তাদের আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়। তাই সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত নাগরিকদের জন্য নগর আদালত আইন বা অন্যকোন নামে আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে নাগরিকরা দ্রুত বিচার পাবেন এবং উপকৃত হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গ্রাম আদালত বা নগর আদালত যেটাই করা হোক না কেন যদি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা না যায় তাহলে প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জিত হবে না। কোনোক্রমে মানুষের জনদুর্ভোগ বাড়ানো যাবে না। ক্ষমতায়নের করার আগে জবাবদিহিতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন উত্তম মানুষ বা অধম মানুষ যেই হোক না কেন তাকে যদি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার আওতায় আনা না হয় তাহলে সে বিপথে যাবেই।
এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো যত বেশি অবদান রাখতে পারবে এবং যত বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে কর্মচারীর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছা থাকলেও সেটা করতে পারবে না । জনমানুষের নিকট নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধিদের বিকল্প নেই। জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিভাবে আরো জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের আহবায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সংলাপে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার জনপ্রতিনিধি ও ব্যক্তিবর্গ এবং সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, সামাজিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে নগর আদালত আইনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন।
সাননিউজ/জেআই