নিজস্ব প্রতিবদক: রাজধানীর মগবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।
সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেছেন।
মুজিবুল হক বলেন, দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে গত রাতে মগবাজারে মনে হয় সিলিন্ডার (পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী) বিস্ফোরিত হয়ে শিশুসহ প্রায় ৭ জন লোক মারা যায়। আরও অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে সমস্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ আছে, এইগুলোতে যে গ্যাস ব্যবহৃত হয়, গ্যাসের যে সিলিন্ডার বা স্টোভ আছে, এগুলো কখনও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের মাধ্যমে ইন্সপেকশন করা হয় কি না এই প্রশ্ন এবার সামনে আসছে। কারণ, আমরা এর আগেও দেখেছি বিভিন্ন প্রাইভেট গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো গতরাতে যে ঘটনাটা ঘটলো, এটা আসলেই যদি গ্যাসের কারণে হয়ে থাকে, এইখানে যে গ্যাসের এতোবড় একটা ‘স্টোর’ ছিল এটা কী অবস্থায় ছিল? সারাদেশে যে সমস্ত জায়গায় গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয় বা যেখানে মজুদ করা হয় সেগুলোতে প্রয়োজনীয় ইন্সপেকশন হয় কি না, যদি না হয় তাহলে এটা যাতে করা হয়।
তিনি বলেন, যাদের কারণে এই দুর্ঘটনা হলো, যে হোটেল বা রেস্তোরাঁর কারণে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হবে কি না, এই বিষয়ে একটি বিবৃতি যাতে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী দেন, সেই দাবি রাখছি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ বলেন, গত বছরে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে অনেক মানুষ মারা গিয়েছিলেন। অনেক মানুষ আহত হয়েছিলেন, যাদের দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিতে হয়েছিল। গতকাল মগবাজারের মতো ব্যস্ততম জায়গায় যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
এই সংসদ সদস্য বলেন, গতকালের ঘটনায় অনেকগুলো বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই ক্ষতির দায় কার? কে নেবে এর দায়?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই এই বিভাগকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিতে হবে। যারা বেআইনি গ্যাস সংযোগ নিচ্ছে, যারা বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছে... এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে প্রতিনিয়ত এইভাবে মানুষ মরবে।
সান নিউজ/এমএম